এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম মাদরাসা কতৃপক্ষের চরম অবহেলার শিকার হয়েছেন আবু তালহা নামের এক শিক্ষার্থী। সরকারি নিয়ম মোতাবেক সকল ফি জমা দেয়ার পরও মাদরাসা কতৃপক্ষের অনিয়ম আর অবহেলার কারনে যথাসময়ে ফরম পুরণ করা হয়নি। ফলে তাঁর নামে বোর্ড থেকে ইস্যু হয়নি প্রবেশপত্র। এ অবস্থার কারনে মাদরাসার ওই শিক্ষার্থী চলমান আলীম পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েছে। ঘটনাটি বারবার মাদরাসা সুপারকে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকি প্রতিকার চেয়ে বঞ্চিত শিক্ষার্থীর বাবা আমিরুল ইসলাম চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘটনাটি মৌখিকভাবে অবগত করলেও তাঁর ছেলে পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে গতকাল বিকালে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী আবু তালহা ও তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম।
পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীর বাবা চকরিয়া পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের মিয়াজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, তাঁর ছেলে আবু তালহা সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদরাসার বিজ্ঞান বিভাগের একজন নিয়মতি শিক্ষার্থী। যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৩১৮৭৫৬৬৫৮। চলতি ২০১৮ সালে শুরু হওয়া আলীম পরীক্ষায় তালহা অংশ নেয়ার প্রস্ততিও নেয়।
বোর্ডের সিদ্বান্তক্রমে মাদরাসা কতৃপক্ষ নৌটিশ জারি করলে অন্য শিক্ষার্থীদের মতো তাঁর ছেলেও সরকারি নিয়ম মোতাবেক আলীম পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য ৩১শত টাকাও জমা দেন। কিন্তু পরীক্ষা সন্নিকটে চলে এলে মাদরাসা কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন তাঁর নামে বোর্ড থেকে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে। এরপর জানতে পারেন মাদরাসা কতৃপক্ষ তাঁর ছেলের কাছ থেকে টাকা নিলেও তা বোর্ডে জমা দেয়নি। ফলে তাঁর নামে বোর্ডে থেকে প্রবেশপত্র আসেনি।
আমিরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, মাদরাসার সংশ্লিষ্টরা গোপনে নেয়া টাকা আত্মসাতের জন্য পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলের কাছ থেকে জমা নেয়া টাকার রিসিটটিও দেয়নি ওইসময়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর মাদরাসার সংশ্লিষ্টরা তার ছেলের দেয়া টাকা আবার খাতায় লিপিবদ্ধ করে। তা বোর্ডে অবহিতও করেন। কিন্তু পরীক্ষার একদিন আগে বোর্ড থেকে আবু তালহার নামীয় প্রবেশপত্রটি আনতে মাদরাসার সংশ্লিষ্টদেরকে ডেকে পাঠান। কিন্তু তাঁরা অবহেলা করে বোর্ডে যায়নি ওই প্রবেশপত্রটি আনতে। ফলে পরীক্ষা শুরু হলেও মাদরাসার শিক্ষার্থী আবু তালহা চলমান আলীম পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা আমিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: